এশিয়া কাপে আজ দুবাইয়ে মহারণ, হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। ঐতিহাসিক এই লড়াই শুধু দল বনাম দল নয়, লড়াইয়ের ভেতরে অন্য আরও কিছু ব্যক্তিগত দ্বৈরথের জন্ম দিচ্ছে। ভারত-পাকিস্তান এই মহারণের মধ্যে চারটি বিশেষ লড়াই নজর কাড়বে সবার—
শুভমান গিল বনাম শাহিন আফ্রিদি
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে আহমেদাবাদে লক্ষাধিক দর্শকের সামনে শুভমান গিলকে শাহিন শাহ আফ্রিদি আউট করার পর পুরো স্টেডিয়াম নীরব হয়ে গিয়েছিল। সেই স্মৃতি নিয়ে আবারও মুখোমুখি হবেন শাহিন আফ্রিদি ও ভারতের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে) হিসেবে আখ্যায়িত গিল। আফ্রিদি পুনরায় ফর্ম ফিরে পেয়েছেন ইন-সুইং আর দ্রুতগতির ভয়ঙ্কর স্পেলে, গিল ছন্দে আছেন সব ফরম্যাটেই।
কব্জির স্পিনারদের লড়াই
ভারতের হয়ে কুলদিপ যাদব আর বরুণ চক্রবর্তীর সামনে থাকবেন পাকিস্তানের সুফিয়ান মুকিম ও আবরার আহমেদ। কুলদিপের বিশ্বকাপখ্যাত বল এখনো আলোচনায়, আর বরুণের প্রত্যাবর্তন গল্পের মতো। বিপরীতে পাকিস্তানি তরুণ মুকিম উদীয়মান প্রতিভা, আবরার এরই মধ্যে গিলকে চমকে দিয়েছেন। দুই দেশের কব্জির স্পিনারদের এই লড়াই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
বুমরা বনাম মোহাম্মদ হারিস
একদিকে জসপ্রিত বুমরার অভিজ্ঞতা এবং তার ওপর ভারতীয় দলের নির্ভরতা, অন্যদিকে পাকিস্তানের তরুণ মোহাম্মদ হারিসের ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলার মানসিকতা- দারুণ লড়াই জমিয়ে তুলতে পারে এই ম্যাচে। ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলার কারণে হারিস ব্যাট করতে নামলে একটা অনিশ্চয়তা ঘিরে থাকে তাকে। তবুও ছোটোখাটো ঝড় তুলতে পারলে পাকিস্তান বড় সুবিধা পেতে পারে। তবে বুমরার নিখুঁত ইয়র্কার আর ভ্যারিয়েশন সামলানো হারিসের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ হবে।
হাসান নওয়াজ বনাম ভারতীয় স্পিনার
পাওয়ারপ্লের পর পাকিস্তানের বড় ভরসার নাম হবেন হাসান নওয়াজ। কিন্তু স্পিনের বিপক্ষে তার স্ট্রাইক রেট অনেকটা কমে যায়। সাম্প্রতিকসময়ে রশিদ-নূরের বিপক্ষে ভুগেছেন তিনি। ভারতের অক্ষর প্যাটেল, কুলদিপ আর বরুণ- ত্রয়ীর সামনে হাসান কেমন করেন, সেটাই হতে পারে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। যদি কিছু বল তিনি মোকাবিলা করতে পারেন, তাহলে সেটা হবে পাকিস্তানের জন্য দারুণ পাওয়া।
আজকের লড়াই শুধু ভারত-পাকিস্তানের আবেগ নয়, এ ব্যক্তিগত দ্বৈরথগুলোও রঙ ছড়াবে এশিয়া কাপে।